চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টি (২০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নিয়াজপাড়া কবির আহমেদের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টি একই ইউনিয়নের কাতার প্রবাসী মো. সিরাজের স্ত্রী ও উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিয়াজীপাড়া এলাকার প্রবাসী আমির হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, গৃহবধূ জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে শ্বাশুড়ি নিহত তসলিমার গুরুতর অসুখ হয়েছে বলে খবর দেয়। অসুস্থতার খবরে দ্রুত তসলিমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্বজনরা দেখেন
তসলিমার নিথর দেহ তার নিজ কক্ষের বিছানায় শুয়ানো রয়েছে। উপরে ফ্যানের সাথে শাড়ির অর্ধেক ছেড়া অংশ ঝুলে রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টির মা বলেন, ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মেয়ের শশুর বাড়ির লোকেরা ফোনে জানিয়েছেন আমার মেয়ে পালিয়ে গেছে। আবার পরে বলেছে আমার মেয়ে খুব অসুস্থ, ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। এভাবে কয়েকটি মিথ্যা কথা বলেছিল ফোনে। মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে সেখানে গিয়ে দেখি লাশ বিছানায় পড়ে আছে।
শাশুড় বাড়ীর লোকদের সন্দেহ করার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী বিদেশ চলে যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মেয়ের সাথে তার শশুর বাড়ীর লোকেরা ঝগড়া করত এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। এ প্রেক্ষিতে ধারণা করছি, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মিল্কি বলেন, তার (জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টি) স্বামী দেশের বাইরে থাকেন। তিনি গলায় শাড়ী পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার শশুর বাড়ীর লোকজন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বুঝা যাবে আসলে বিষয়টি কী। আপাতত এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টির বিয়ে হয়। তবে তাদের সন্তান নেই।